বিশিষ্ট অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী আবদুল কাদেরের মৃত্যুর পরপরই শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল কাদের মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জেমি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) উনার অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এসময় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। এর আগে তিনি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ছিলেন।
সবাইকে তার জন্য দোয়া করার জন্যও বলেন জাহিদা ইসলাম জেমি।
মৃত্যুকালে আবদুল কাদেরের বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী এবং এক ছেলে ও মেয়েকে রেখে গেছেন।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় তাকে। সেখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় তার শরীরে প্যানক্রিয়াস ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে না।
পরে চেন্নাই থেকে ২০ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন আবদুল কাদের। শারীরিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ হওয়ায় দেশে ফেরার পরই রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে করোনার টেস্ট করা হলে গত ২১ ডিসেম্বর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।