না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) উনার অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এসময় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। এর আগে তিনি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ছিলেন।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় তার শরীরে প্যানক্রিয়াস ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে না।
পরে চেন্নাই থেকে ২০ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। শারীরিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ হওয়ায় দেশে ফেরার পরই রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে করোনার টেস্ট করা হলে গত ২১ ডিসেম্বর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, আব্দুল কাদেরের জন্ম মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন।
আব্দুল কাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রেও দারুণ প্রশংসিত হন।
বহু একক ও ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি তাকে নিয়মিত দেখা গেছে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-তে। ছোটপর্দা, বিজ্ঞাপন এবং বড়পর্দা- তিন মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় তিনি। ‘রং নাম্বার’সহ কিছু সিনেমাতেও অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন আব্দুল কাদের। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, এখনো ক্রীতদাস, তোমরাই, স্পর্ধা, দুই বোন, মেরাজ ফকিরের মা ইত্যাদি।