একদিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে আসা ৩৩ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর করোনাভাইরাস টেস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সুমন সেন গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় দেশ-বিদেশি সকলের করোনা নেগেটিভ সনদ লাগছিল। এখন দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে ফেরার সময়ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করানো নেগেটিভের সনদ লাগবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয়। ২৫ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়। যথাযথ নিয়ম মেনেই যাত্রীরা আসছিলেন। কিন্তু শুক্রবার দেখা যায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করানো ৩৩ জনের করোনা নেগেটিভ সনদ নাই। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
ভারত থেকে শুক্রবার ফেরত আসা বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী অসিম হালদার। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যান্সারের সমস্যার কারণে চিকিৎসার জন্য প্রায় আড়াই মাস ভারতে থেকেছি। আমার জানা ছিলো না যে এখন দেশে ফেরার সময় ও করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। জানলে অবশ্যই নিয়ম মেনে ফিরতাম।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের মেডিক্যাল অফিসার সুমন সেন জানান, দেশে আবার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমিগ্রেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে ৩৪২ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে ৩৩ জনের করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। তারা চাইলে তাদের নিজ নিজ জেলায় কোয়ারেন্টিনে সেন্টারে যেতে পারবেন। এই ৩৩ জন পাসপোর্ট যাত্রী ক্যান্সারের ও হার্টের রোগী। তারা সবাই চিকিৎসার জন্য দুই থেকে আড়াই মাস ভারতে ছিলেন।