শিরশিরে উত্তরে হাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীত এসেই গেছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে শীতের আমেজ। তবে পৌষের শীত এখনও তেমনভাবে জেঁকে বসেনি। ভোরে খানিকটা শীতের আভাসের দেখা দিলেও যতই দিন গড়াতে থাকে আকাশে থাকে রৌদ্রের ঝলকানি।
যেটুকু ঠাণ্ডা পড়েছে তাতে নতুন করে শীতবস্ত্র কেনার তেমন আগ্রহ জাগেনি অনেকেরই। ব্যতিক্রম নিম্ন আয়ের কিছু মানুষ। তারা আবার ফুটপাতের দোকান থেকে আগে থেকে কিনে রাখছেন শীতবস্ত্র। তবে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে শীতবস্ত্রের বিপুল মজুদ লক্ষ্য করা গেছে। নগরের নিউ মার্কেট ও হকার্স মার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফুটপাত বিক্রেতারা জানালেন, দোকানগুলোতে এখন অন্যান্য কাপড়ের পরিবর্তে শীতের পোশাক তোলা হয়েছে। আছে সোয়েটার, জ্যাকেট ও কম্বলও। কেনা-বেচা মোটামুটি ভালোই।
এবার বাজারে শীতের কাপড়ের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। দামও গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানালেন এসব বিক্রেতারা।
সাধারণ পোশাক গোডাউনে রেখে দোকান শীতবস্ত্র দিয়ে সাজিয়েছি জানিয়ে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. রবিউল বলেন, ‘দোকানে সব শীতের পোশাক তুললাম, কিন্তু এখনও শীত পুরোপুরি আসলো না। গরম কাপড়ের বাজার ঠাণ্ডা হয়ে আছে।’
মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী ওসমানুল হক বলেন, ‘বেচাকেনা খুব কম। যারা আসছেন তারা কম দামে কেনার কথা ভাবছেন। ঠাণ্ডা তেমন নেই, তাই কাপড় কেনার ইচ্ছাও নেই ক্রেতাদের।’
এদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। তেমনই একজন জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘শুধু মূলধন তুলতেই অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি করছি।’
এ ব্যবসায়ী জানান, আনোয়ারা থেকে একটু বেশি লাভের আশায় তিনি চট্টগ্রাম শহরে শীতের কাপড়, টুপি, মোজা, মাফলার বিক্রি করতে এসেছেন। কিন্তু বাজারের অবস্থা দেখে আবার ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত বলেন, ‘নগরের বাইরে যারা যাচ্ছেন এমন ক্রেতারা শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা নগরে থাকছেন তারা সেভাবে শীতের কাপড় কিনছেন না। ’
শীতের তীব্রতা না থাকায় গরম কাপড় কেনার প্রতি তাদের তেমন আগ্রহ নেই বলে জানালেন ক্রেতারা।
বাকলিয়া এলাকার গৃহিণী রুবিনা হক বলেন, ‘শহরে তেমন ঠাণ্ডা নেই, তাই শীতের কাপড় কিনছি না। গত বছরও তেমন শীতের দেখা মিলেনি। তখন কেনা শীতবস্ত্র রয়ে গেছে এখনও’।