একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও আত্মত্যাগের জন্য আরও ৬১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারশ জনে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন ওই বীরাঙ্গনারা।
বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। স্বীকৃত পাওয়া বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
গত ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামসসহ অন্য সহযোগীদের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হয় বীরাঙ্গনারা। তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য আবেদন আহ্বান করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি/যুদ্ধকালীন কমান্ডারের প্রতিবেদন/স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবেদন, যদি থাকে) জমা দিতেও বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মতামতসহ তা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এর পাশাপাশি অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গবেষক, নারী সংগঠন, এনজিওর কাছে নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে গেজেটভুক্তির কাজে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।