ডেস্ক রিপোর্ট: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যার পরও হাজীগঞ্জ বাজারে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ শহরের বিশ্বরোড এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেলে সমাবেশ শুরুর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থকরা সেখানে হামলা করে সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংর্ঘষে জড়িতে পড়ে। এ সময় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে জেলা থেকে আসা দুই প্লাটুন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই সমাবেশ পণ্ড হয়।
সমাবেশ পণ্ড হওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের দায়ী করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মাইনউদ্দিন। তারা বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় এই সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু কোনো যুক্তি ছাড়া যুবলীগ নামধারী কতিপয় দুর্বৃত্ত এবং বহিরাগতদের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সমাবেশ মঞ্চে হামলা করে।
এ সময় হামলাকারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
পুলিশের হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।