বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গ্রুপপর্বের সেরা দু’দলের ফাইনালে ওঠার মুখোমুখি লড়াইয়ে চট্টগ্রামকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন জেমকন খুলনা।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খুলনা। জহুরুল ইসলামের ঝড়ো ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় খুলনা। ২১১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাশরাফির আগুন ঝরা বোলিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
ব্যাট হাতে প্রথমে নেমে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত খুলনার জহুরুল ইসলাম অমি করেন ৫১ বলে ৮০ রান। তার সঙ্গে দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেন ৯ বলে ৩০ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। এছাড়াও ইমরুল কায়েসর ১২ বলে ২৫ ও সাকিব আল হাসানের ১৫ বলে ২৮ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ২১০ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে মোস্তাফিজ ৩১ রানে দুই উইকেট শিকার করেন। সঞ্জিত সাহা ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে ট্টগ্রামের দুই ব্যাটিং ভরসা সৌম্য সরকার ০ ও লিটন দাস ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। আর খুলনার তিন ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল হাসান জয় দলের হাল ধরেন। ১২তম ওভারে দলীয় ১০০ সংগ্রহ করে চট্টগ্রামকে জয়ের স্বপ্ন দেখান এ দুই ব্যাটসম্যান। পরের ২৫ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে খুলনার দিকে। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে চট্টগ্রাম। অবশেষে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানের ব্যবধানে হারায় মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন তারকাখচিত খুলনা।
চট্টগ্রামের পক্ষে মিঠুন করেন সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। আর খুলনার পক্ষে অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তিনি একে একে বিদায় করেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে।
এ জয়ের ফলে ফাইনালে উঠে গেল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা। এর আগে গ্রুপপর্বে ৮ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছিল চট্টগ্রাম। তবে তাদের আশা শেষ হয়ে যায়নি। আজকের অপর ম্যাচের বিজয়ী ঢাকার সঙ্গে মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচে যারাই জিতবে তারাই যাবে ফাইনালে।