• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

এক ম্যাচে দুইবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সতীর্থকে মারতে উদ্যত মুশফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
এক ম্যাচে দুইবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সতীর্থকে মারতে উদ্যত মুশফিক

ডেস্ক রিপোর্ট: খেলায় ক্রিকেটারদের মধ্যে স্লেজিং, রাগের প্রকাশ একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সেটা বরাবরই দুই দলের খেলোড়ারের মধ্যে হলেও মুশফিকুর রহিম যেন ব্যতিক্রম। নিজ দলের খেলোড়ার নাসুম আহমেদের দিকে এক ম্যাচেই দুইবার মারতে উদ্যত হয়ে আলোচনার জন্ম দিলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

১৩তম ওভারে একবার, ১৭তম ওভারে আরেকবার। এক ম্যাচে পর পর দুবার আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে দুবার তেড়ে গেলেন। মারতে উদ্যত হলেন মাঠের মধ্যেই।

প্লে অফের ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৯ রানে জিতেছে মুশফিকের ঢাকা। নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। কিন্তু ওই জয় ছাড়িয়ে আলোচনায় মুশফিকুর রহিমের অক্রিকেটার সুলভ আচরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। জুনিয়র ক্রিকেটারের প্রতি মুশফিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন আচরণ মানতে পারছেন না অনেকে।

প্রথম ঘটনা ১৩তম ওভারে। বল করতে আসা নাসুম আফিফের হাতে খান এক ছক্কা। পরের বলে মিড উইকেটে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গেলে রান আটকাতে দৌড় দেন বোলার নাসুম ও কিপার মুশফিক দুজনেই। একসঙ্গে দুজন জড়ো হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের রান আউটের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। মুশফিক তখন বল ধরে নাসুমের দিকেই থ্রো করতে উদ্যত হন।

দ্বিতীয় ঘটনা ফরচুন বরিশালের ইনিংসের ১৭তম ওভারে। শফিকুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলটি শট নিতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ হোসেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা আফিফের ওই ক্যাচটি নিতে ছুটে আসেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। মুশফিকুর রহিমও ছুটে যান ক্যাচটি নিতে। কিন্তু কেউ কাউকে ক্যাচটি নেওয়ার জন্য কল করেননি।

শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমই ক্যাচটা নেন। এরপরই ঘটে অবাক করা ঘটনাটি। মুশফিক হাতের বল নিয়েই তেড়ে যান নাসুমের দিকে। যেন বলটা ছুঁড়ে মারতে চান তরুণ ওই ক্রিকেটারের গায়ে। অন্য ক্রিকেটাররা আফিফের আউট উদযাপন করতে আসলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেননি মুশফিক। বরং রাগ ঝাড়তে থাকেন নাসুমের ওপর। মুশফিকের ওই ক্ষোভ বিনা বাক্যব্যয়ে মাথা নিচু করেই হজম করেন নাসুম।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদ আব্দুল্লাহ নামের এক ভক্ত লিখেছেন, মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যত ক্যাচ, স্টাম্পিং মিস করেছেন তার জন্য যদি সিনিয়ররা তার ওপর চড়াও হতেন, তাহলে ক্রিকেটই খেলা হতো না তার। জাফর আহমেদ লিখেছেন, মুশফিকের আচরণ ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। রাশেদ আহমেদ লিখেছেন, শেম অন ইউ মুশফিকুর রহিম। এভাবে আরও অনেকে মুশফিকের আচরণের সমালোচনা করেছেন।

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ শেষ ধাপে এসে তারকা ক্রিকেটারদের অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য আলোচনায়। এর আগে বাংলাদেশ দলের পেসার সাইফউদ্দিন সতীর্থ আনিসুল ইমনের ওপর চড়াও হয়েছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর