• শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শংকরপাশায় দুর্ঘটনা: শালা-দুলাভাই নিহত, বাসচালক পলাতক ধানমন্ডিতে শিশুর ভুল চোখে অপারেশন, অভিযুক্ত চিকিৎসক গ্রেপ্তার ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের গেজেট প্রকাশ রেস্তোরাঁ খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার গিগাবাইটের এআই এজেন্ট জিম্যাট সহ নতুন প্রজন্মের এআই পিসি উন্মোচন দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত প্রথম মৃত্যু, ছিল অন্যান্য জটিলতা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর: মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১২.৫৫% ইসরায়েল-হামাস চুক্তি: ছয় সপ্তাহের মধ্যে বন্দি বিনিময় ও সেনা প্রত্যাহার শুরু টানা দুই ম্যাচে ৫ গোল: বার্সেলোনা কোয়ার্টার ফাইনালে

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

বন্দর নগরীর ৯ বছর বয়সী শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪।

২০১৮ সালের ২১শে জানুয়ারি আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনির মমতাজ ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির পাশ থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নগরীর আকবর শাহ থানায় মামলা করেন।

মীমের মায়ের সঙ্গে আসামি বিজয়ের মায়ের কী নিয়ে বিরোধ প্রসঙ্গে পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক ফারুক উল হক ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি বলেছেন, ‘এক থেকে দেড় মাস আগে মীমের মা রাবেয়া বেগম জিম্মাদার হয়ে বিজয়ের মাকে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দেন। টাকা নেওয়ার পর বিজয়ের মা তা পরিশোধ না করায় রাবেয়া ঝামেলায় পড়েন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে বিজয় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে মীমকে একবার নির্যাতনের চেষ্টা করে।’

গত ২১ জানুয়ারি রবিবার রাতে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মীমের (৯ বছর) লাশ উদ্ধার করে। প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে মীমের বাবা-মা এসে লাশটি শনাক্ত করলে পুলিশ লাশের পরিচয় জানতে পারে। মীম স্থানীয় জামাল হোসেন ও রাবেয়া বেগমের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। তার বাবা জামাল কাপড় ধোয়ার কাজ করেন।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পরদিন ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে তিনি ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। আসামিরা হলো, মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয় (১৮), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৬), মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন (২৬), মো. আকসান মিয়া প্রকাশ হাসান (১৮), মো. সুজন (২০) ও আয়শা মমতাজ মহলের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম মনু। আসামিদের মধ্যে বিজয় পতেঙ্গা থানাধীন নারিকেল তলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মানিকের ছেলে, রুবেল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা কাদের ভূঁইয়ার ছেলে, লিটন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি আউটশাহী গ্রামের বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে, হাসান সিলেটের জগন্নাথপুর থানার সোনামঞ্চ এলাকার বাসিন্দা আরজু মিয়ার ছেলে এবং সুজন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁ বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে। তারা সবাই নগরীর আকবর শাহ এলাকায় থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর