পৃথিবীতে প্রতিদিন কতো অদ্ভুত কিছুই না ঘটে, যেগুলো আমাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তেমনি এমন কিছু ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় ঘটেছে যেগুলো শুনেই হয়ত আপনি মিথ্যা মনে করে বাতিলের খাতায় ফেলে দেন।
কিন্তু বিশ্বাস করুন কিছু ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য এবং অবাক হয়ে যাওয়ার মতো।
আজ দৈনিক এইদিনের পাঠকদের কাছে ষষ্ঠ কিস্তিতে এমন কয়েকটি অবাক করা তথ্য শেয়ার করবো-
১.ওয়্যারলেস প্রযুক্তি কম্পিউটার ও ফোনের মধ্যে যেভাবে সংযোগ ঘটানোর কারণে ব্লুটুথের নামকরণ করা হয়েছিল দশম শতাব্দীর রাজা কিং হ্যারাল্ডের নামানুসারে, কারণ তিনি ডেনমার্ক ও নরওয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন চলমান সংঘাত নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন।
২. ১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে কুকুর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কারণ কুকুর থেকে এখানকার সীলগুলা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছিলো।
৩. আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত ‘হার্ট দ্বীপ’ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সরকারি কবরস্থান যেখানে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়।
৪. স্লোভাকিয়ায় ক্রিসমাসের সময় বেশিরভাগ মানুষ কার্প জাতীয় একটি বিশেষ মাছ বেশ কয়েকদিন বাড়ির বাথটাবে জিইয়ে রেখে তারপর খেয়ে থাকে!
৫. ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের ‘থেরাপিস্ট’ নিয়োগ দেয়া হয় আর এদেরকে বলে ‘সম্পদ মনোবিজ্ঞানী’ এদের কাজ হচ্ছে যাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে কিন্তু সম্পদের সুষম ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞাত নয় তাদেরকে সেবা দিয়ে থাকে।
৬. ১৯৯৯ সালে হ্যাকাররা হটমেইলের একটি গোপণ ত্রুটি সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশ করেছিল, যেখানে “এএইচ” পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যে কোনও হটমেল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা যেত। এই ঘটনাকে ওয়েবের ইতিহাসে সর্বাধিক বিস্তৃত সুরক্ষা দুর্ঘটনা বলে স্বীকৃত।
৭. খ্রিস্টপূর্ব ১৬৫০ বছর আগে ‘গিজার দ্য গ্রেট পিরামিড’ নির্মাণের প্রায় ৯০০ বছর পর পর্যন্ত এন্ট্রারটিক মহাদেশে ম্যামথসের অল্পকিছু প্রজাতি বেঁচে ছিল।
৮. আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স মিনেসোটা রাজ্যের চেয়েও বেশি!
৯. ঘুমে থাকাকালীন মানুষের কোনোভাবেই হাঁচি দেয়া সম্ভব না!
১০. কোনো মানুষ যদি প্রতি সেকেন্ডে ১ ডলার আয় করে থাকে তবে বিল গেটসের সমান অর্থ উপার্জন করতে আপনার ২,৯২১ বছর সময় লাগবে!