আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তার ভেতর অনেক কিছুই আশ্চর্যজনক সত্য দ্বারা পরিপূর্ণ যা আপনি কখনও জানতেন না! আজ দৈনিক এইদিনের পাঠকদের জন্য শেষ পর্বে এমন কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরবো যেগুলো জেনে জীবনে সত্যিই নতুন অভিজ্ঞতা হবে!
১. ১৮৪৫ সালে ভয়াবহ আলু দুর্ভিক্ষের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি আইরিশরা!
ভয়াবহ ওই দুর্ভিক্ষের আগে আয়ারল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮.৫ থেকে ৯ মিলিয়ন। কিন্তু বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৪.৮৮ মিলিয়ন!
২. উট আসলে তাদের কুজে পানি জমা রাখে না!
একটি বহু প্রাচীন কাল্পনিক গল্প হিসেবে আপনি হয়ত শুনে থাকবেন যে উট তাদের ভেতরে সঞ্চয়কৃত পানি কুজের ভেতর জমা রাখে। কিন্তু এটি মিথ্যা তথ্য। প্রকৃতপক্ষে উঠের মনোরম কুজ সম্পূর্ণ চর্বি দিয়ে গঠিত। তবে শুধু চর্বি সঞ্চয় না কুজের আরও অন্যান্য কাজও রয়েছে!
৩. আগুন সরানোর সময় দাঁড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু!
১৫৬৭ সালের এক তথ্যে জানা যায়, অষ্ট্রিয়ার ব্রাউনউ এম ইন ইন ব্যাক শহরের মেয়র ছিলেন হ্যান্স স্টেইনঞ্জার নামের এক ব্যক্তি। সে সময় তার প্রায় চার ফুট লম্বা দাড়ি ছিল যা তৎকালীন সবচেয়ে বড় দাঁড়ির রেকর্ড। তিনি একদিন আগুন সরানোর মহড়া দেয়ার সময় দাঁড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন। এ সময় জ্বলন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে দাঁড়িতে পা পেঁচিয়ে পড়ে যান এবং সেখান থেকে নিচে গড়িয়ে পড়ে ঘাড় ভেঙে মারা যান!
৪. ১৯৬০ সালে নির্মিত ‘সাইকো’ সিনেমায় প্রথমবারের মত কোনো মুভিতে টয়লেট ফ্ল্যাশ করার ছবি দেখানো হয়!
চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আলফ্রেড হিচকক বহুল জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। বিশেষ করে হরর সিনেমার ক্ষেত্রে তিনি অদ্বিতীয়। ১৯৬০ সালে তার নির্মিত ‘সাইকো’ মুভিটি একটা মাস্টারপিস হিসেবে সারাবিশ্বে চলচ্চিত্র প্রেমীদের মোহিত করেছিল। এখানে প্রথমবারের মত বড় পর্দার কোনো সিনেমায় টয়লেট ফ্লাশ করতে দেখা যায়!
৫. একক হিসেবে সবচেয়ে বড় তুষারখণ্ডের দৈর্ঘ্য ছিল ১৫ ফুট!
বেশিরভাগ তুষার হচ্ছে অতিক্ষুদ্র আকৃতির বা ডেলিকেট মাইক্রোস্কোপিক আকৃতির হয়। তবে ১৮৮৭ সালে আমেরিকার মন্টানায় অনেক বড় একটি তুষার ঝড়ের সময় পাওয়া ১৫ ফুট লম্বা তুষারখণ্ডটি ছিল একটা হিমশৈলীর সমান।
এগুলোই ছিল আশ্চর্যজনক কিছু তথ্যের শেষ পর্ব। তবে এই তথ্যগুলা কি আপনাদের কাছে সত্যিই আশ্চর্যজনক লেগেছে! এছাড়া আপনার জানা কোনো আশ্চর্যজনক তথ্য জানা থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।