পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মোছাম্মৎ মর্জিনা আক্তারকে এক থাপ্পড় দিয়েছিলেন স্বামী সজীব মিয়া। আর তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বাতুয়াদি গ্রামের এ নববধূ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের স্বামী সজীব মিয়া ঝগড়া করে উত্তেজিত হয়ে প্রচণ্ড জোরে তার স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন। এতে তার স্ত্রী মর্জিনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই রোববার রাতে মর্জিনা মারা যান। পরে লাশ রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী সজীবকে আটক করে দায়িত্বরত পুলিশ। এর আগে রোববার দুপুরে স্ত্রীকে থাপ্পড় মারার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে হাসপাতালে একজন এসআইকে পাঠানো হলে জানা যায় আটক সজীবের বাড়ি নান্দাইলে হলেও ঘটনাস্থল শ্রীপুর থানায়। তাই সেখানেই মামলা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ মাস আগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সওদপুর গ্রামের হাতিম মিয়ার মেয়ে মোছাম্মৎ মর্জিনা আক্তারের সঙ্গে বাতুয়াদি গ্রামের মো. কাজল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন অত্যাচার করতেন সজিব। এ ঘটনা বাড়িতে জানায় মর্জিনা। কিন্তু পরিবারের লোকজন কোনো ধরনের কর্ণপাত না করে স্বামী সজীবের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য মর্জিনাকে নির্দেশ দেয়।