• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যে মামুনুল-বাবুনগরী-ফয়জুলের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যে মামুনুল-বাবুনগরী-ফয়জুলের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে। ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বেলা ১১টার দিকে মামলা গ্রহণের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর পুনরায় কায়েম হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন মামলার আসামি মামুনুল হক। গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে তিনি এ মন্তব্য করেছিলেন।

একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করিম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে নেন যে, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না। কিন্তু দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক অথবা কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না জানিয়ে মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জোনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।

সম্প্রতি কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে, যার একটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় জড়িত কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া ইবনে মাস্উদ (রা.) মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং শিক্ষক আল-আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলী (২৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ইসলামি বক্তা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ান শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন গ্রেফতার দুই মাদরাসাছাত্র।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর