ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানী ভাটারা এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনের কাছে ফেলে রাখা সন্দেহজনক একটি ব্যাগ থেকে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সদৃশ একটি বস্তু ও একটি ছেঁড়া চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশের বোমা উদ্ধার ও নিস্ক্রিয়করণ দল।
গুলশান জোনের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এক ব্যক্তি ভবনের প্রবেশ পথে নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশ্নের মুখে একটি কালো ব্যাগ ছুড়ে ফেলে চলে যায়। পরে ওই ব্যাগ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভবনের লোকজনের মধ্যে সন্দেহ ও আতঙ্ক তৈরি হয়।
পরে পুলিশের বোমা উদ্ধার ও নিস্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা প্রায় তিন ঘণ্টার পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে ওই ব্যাগ থেকে আইইডি মতো দেখতে একটি ডিভাইস, ছিন্নভিন্ন একটি চিঠি ও একটি ছুরি উদ্ধার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের (এসএজি) উপকমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহজনক ব্যাগটি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ক্ষতিকর কিছুই পায়নি। এটি কারা কী কারণে করেছে তা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ জানায়, বোমা সদৃশ বস্তু মনে করে তারা থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে ফেলে রাখা ব্যাগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে চারপাশ ঘিরে রাখে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডাকে সিটিটিসির বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়কারী দল সেখানে গিয়ে ব্যাগটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে।
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্যাহ চৌধুরী বলেন, ব্যাগ থেকে আইইডি মতো দেখতে একটি ডিভাইস, ছিন্নভিন্ন একটি চিঠি ও একটি কমান্ডো নাইফ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই চিঠিতে ইংরেজিতে ‘আমেরিকান সেন্টার’ লেখা পাওয়া গেলেও আর কিছু পাঠোদ্ধার করা যায়নি। এগুলো কারা কেন ফেলে রেখে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিকালের দিকে দূতাবাসের বিপরীত দিকে প্রবেশপথ দিয়ে অ্যানেক্স ভবনে দুটি গাড়ি ঢুকছিল। কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে দুই ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কারণ জানতে চান। তাদের একজনের হাতে কালো রঙের ব্যাগ ছিল। নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশ্নের মুখে ওই ব্যাগ ফেলে দিয়ে দুজনই দৌড়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি থানায় জানানো হলে ভাটারা থানার পুলিশ ও ডিএমপির বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের সত্যতা খুঁজে পায়নি।
ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের উপকমিশনার আশরাফুল করিম বলেন, একটি কালো রঙের ব্যাগ ঘিরে সন্দেহ ও আত্ঙ্ক তৈরি হওয়ায় সেটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে সেই ব্যাগে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।